মেহেরপুর ৭১, ০৫ জানুয়ারি:
একের পর এক তথ্য গোপন করে ৫ পুরুষকে বিয়ে করে তাদের কাছ থেকে অর্থ স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক নাছিমা খাতুনের বিরুদ্ধে। সে মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের মৃত আবেদ আলীর মেয়ে। মামলা করেও তার হাত থেকে রেহায় পাচ্ছেনা ভুক্তভোগীরা। অভিযোগে জানা যায় একটি করে বিয়ে করে আর স্বামীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা সহ স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ায় নাছিমার পেশা। সর্বশেষ স্বামী আতিয়ার রহমানের কাছ থেকেও একই ভাবে টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে এখন প্রাণ নাসের হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে আতিয়ার রহমান। আতিয়ার ও তার পরিবার এখন ঘর ছাড়া। নাছিমা মেহেরপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১) আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন স্বামী আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে। মেহেরপুর প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রাফিয়া সুলতানার আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। পরে ২০১৯ সালের ২৯ মে উভয় পক্ষের স্বাক্ষরিত একটি আপোস মিমাংসা করা হয়। কিন্তু আপোশ মিমাংসার পর আবারও বিভিন্নভাবে হয়রানী করেছে আতিয়ারকে। তাই আতিয়ার বাধ্য হয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে বিষয়টি মুজিবনগর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কমিটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতাও পেয়েছে। তদন্তে মুজিবনগর থানা পুলিশের এস আই মো. মোমিনুর রহমান বলেছেন, গত ১৫/১১/২০১৫ ইং তারিখে তাদের বিবাহ হয়। এই বিবাহর আগে ১৯৯৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুজিবনগরের আনন্দবাসের মো. নাজির উদ্দীনের ছেলে আশরাফুল হকের সাথে তার বিয়ে হয়। এর পর ১৯৯৯ সালের ১৩ জুলাই আনন্দবাস মুচিপাড়া গ্রামের আইনদ্দিনের ছেলে সামসের আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। এরপর ২০০১ সালের ২ মে পুনরায় সে মুজিবনগরের গোপালনগর গ্রামে পাতান শেখের ছেলে রেজাউল হককে বিয়ে করে। এরপর সে ২০০৭ সালে রামনগর গ্রামের হাজী মোল্লার ছেলে মিজান মোল্লাকে বিয়ে করে। আতিয়ার রহমান বলেন, ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর আমার সাথে নাসিমার বিয়ে হয়। কিন্তু এ বিবাহের পূর্বে নাছিমার আরো ৪ বার বিয়ের কথা গোপন রাখে। নাইট কোচে ডিউটির সুবাদে নাছিমা বিভিন্ন জায়গায় পরোকিয়ায় লিপ্ত হয়। এর পর নাছিমার পরোকিয়া ও ৪ বিয়ের কথা প্রকাশ পেয়ে যায় আমার কাছে। এসময় নাছিমা আমার বাড়ি থেকে নগদ দেড় লক্ষ টাকা ও ১ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। এর পরের দিন আমি নাছিমার কাছে টাকা ও স্বর্ণালংকারের বিষয়ে জানতে চাইলে আমাকে বিভিন্ন রকম হুমকী ধামকি দেয়। আমি বাধ্য হয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। বিষয়টি আমলে নিয়ে আদালত মুজিবনগর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আনন্দবাস গ্রামের ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম জানান, তার একাধিক স্বামী ছিল। সে মেয়ের আচরণ ভালো না। তার বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা দরকার। এ বিষয়ে নাসিমা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।
পূর্বের পোস্ট